ভাস্কর্য ইস্যুতে বিরাজমান পরিস্থিতিকে ‘দেশবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত’ হিসেবে দেখছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থানে হতাশা প্রকাশ করে দলটির আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সাধারণ মানুষের দাবিকে কেন্দ্র করে কুচক্রি মহল আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে যখন উগ্রতা ছড়াচ্ছে তখন সরকার তা দমন না করে তাতে উৎসাহ দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী এবং ধর্মীয় বক্তা মামুনুলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
আলেম-ওলামাদের প্রতি বিষোদগার বন্ধ না হলে সময় ও পরিস্থিতি বুঝে বৃহত্তর কর্মসূচির দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ যখন রুটি-রুজি যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। যখন নাগরিক সমস্যা দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। তখন দেশের একটি চিহ্নিত মহল জনগণের মাঝে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭টি মসজিদ-মাদ্রাসার মিলনস্থলে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ না করে বিকল্প কোনো পন্থায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার দাবি জানিয়েছে তৌহিদী জনতা। শালীন ভাষায়, যৌক্তিকভাবে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়েছে। বিষয়টা একেবারেই স্বাভাবিক নাগরিক প্রতিক্রিয়া।’
রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘একটি সুবিধাবাদী মহল বিষয়টিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিশৃঙ্খলা করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের আলেম-ওলামা চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। আলেম-ওলামারা কোরান, হাদিসের আলোকে তাদের মতামত দিয়েছে। তারা কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে বলেনি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম ছাড়াও সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাল মাদানী, খন্দকার গোলাম মাওলা, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।